নতুনদের জন্য ফাইভার টিপস।
যারা ফাইভার কে ক্যারিয়ার হিসাবে নিতে চান তাদের জন্য কিছু টিপসঃ
১. প্রোফাইল পিকচার ম্যাটারসঃ আপনি হয়তো ভাবছেন আমার চেহারা দেখে ক্লায়েন্ট এর কাজ কি! ভালো কাজ পারলেই হলো। কথাটা কিছুটা সত্য। সব ক্লায়েন্ট চেহারা দেখে না। আপনার রিভিউ আর কাজের কোয়ালিটি দেখে কাজ দেয়। এর ব্যতিক্রম ও কিন্তু আছে। আমার অনেক সেলার এর সাথেই কথা হয়েছে যারা আমাকে বলেছে যে তাদের ক্লায়েন্ট তাদেরকে প্রোফাইল পিকচার চেঞ্জ করতে বলেছে। প্রোফেশনাল প্রোফাইল পিকচার দিতে বলেছে। এমনও হয়েছে যে আমার এক টপ রেটেড সেলার ফ্রেন্ড এর প্রোফাইল পিক দেখে ক্লায়েন্ট বলেছে, সে তার প্রোফাইল পিক এর দিকে তাকালে ভয় পায়।
মনে রাখবেন, প্রোফেশনাল ক্লায়েন্টরা প্রোফেশনাল সেলারদেরই পছন্দ করে। তাদের কাছে আপনার ফার্স্ট মেসেজ থেকে শুরু করে আপনার ওভারঅল এ্যাটিচিউড ও ম্যাটার করে। আর তারা আপনাকে এই প্রোফেশনালিজমের জন্যও এক্সট্রা পে করবে। আর প্রোফেশনাল ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করার কত মজা, সেটা যারা করেছেন তারাই জানেন।
তাই ফাইভার প্রোফাইল পিককে ফেইসবুক প্রোফাইল পিকের সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না। একটা প্রোফেশনাল পিক আপলোড দিন। গুগলে Professional Pic লিখে সার্চ দিলেই Example পেয়ে যাবেন অনেক।
২. “Gig Title” the Most Important Things: আপনার গিগ সার্চ রেজাল্টে আসবে কি আসবে না, সেটা ডিপেন্ড করে আপনার গিগ টাইটেল এর ওপর। আপনার গিগ টাইটেল যদি ঠিক না থাকে তাহলে আপনি যত ভালোই গিগ ইমেজ, Search tag বা Descriptio লিখেন না কেন, আপনার গিগ সার্চ রেজাল্টে আসবেনা।
আপনার গিগ টাইটেলে অবশ্যই আপনার গিগ এর মেইন Key word থাকতে হবে। তারপর সাথে ২টা Sub Key word থাকতে পারে।
Example: আপনি যদি লোগো ডিজাইনার হন, তাহলে অবশ্যই Logo Design টা আপনার টাইটেলে থাকতে হবে। তারপর আপনি যেই টাইপ Logo করেন সেই টাইপ Key word দিতে পারেন। যেমনঃ আপনি যদি Vintage Logo করেন তাহলে আপনার টাইটেলে Vintage Logo লেখাটা গুছিয়ে Add করে দিবেন।
৩. Gig Image: Second Important Things হলেও আপনার কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে এটাই মোস্ট ইম্পরট্যান্ট ম্যাটার। গিগ টাইটেল দিয়ে আপনি সার্চ রেজাল্টে আসবেন। কিন্তু সার্চ রেজাল্টে আসলেই তো আর ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দিবে না। সার্চ রেজাল্টে আসার পর এবার আপনাকে ক্লায়েন্ট এর দৃষ্টি আকর্ষন করতে হবে। সেটার জন্য গিগ ইমেজের কোনো বিকল্প নাই। আপনার গিগ ইমেজই আপনার গিগ অন্য সবার থেকে আলাদা করে ক্লায়েন্ট এর চোখে আসতে পারে যদি আপনি তেমন ইমেজ দিতে পারেন। এক্ষেত্রে কোয়ালিটি কাজের কোন বিকল্প নাই। তবে অনেক ক্ষেত্রে কোয়ালিটি কাজ দিয়েও অর্ডার পায় না। কারন প্রেজেন্টেশন বা মকাপ। আপনার কাজ যতই সুন্দর হোক না কেন, ভালো ভাবে মকাপ বা প্রেজেন্টেশন না করতে পারলে ক্লায়েন্টের নজরে আসবে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ভালো এবং আই ক্যাচিং মকাপ সিলেকশন করে সেটা নিয়ে Experiment চালাতে হবে।
কিভাবে Experiment করবেনঃ
আপনার গিগ যদি নতুন হয়, তাহলে কয়েকটি গিগ ইমেজ রেডি করে ঠিকঠাক ভাবে টাইটেল আর Description লিখে গিগ ইমেজ গুলা আপলোড দিন। আপলোড দিয়ে ১ বা ২ ঘন্টা বা কোন কোন ক্ষেত্রে এক দিন অপেক্ষা করে আপনার ব্রাউজ়ার এর Incognito Mode থেকে ফাইভারে ঢুকে সার্চ দিয়ে দেখুন আপনার গিগ কত নাম্বার পেইজে আছে। যত নাম্বার পেইজে আছে সেটা মনে রাখুন। এক্ষেত্রে ফার্স্ট গিগ ইমেজটাই বেশিরভাগ ম্যাটার করে। । তারপর সব কিছু অপরিবর্তিত রেখে অন্য একটা গিগ ইমেজ আপলোড দিয়ে আবার সেইম পদ্ধতি অবলম্বন করুন। দেখুন আপনার গিগ কত নাম্বার পেইজে আছে। যদি আগের থেকে সামনের দিকে আসে। তাহলে এই টাইপ গিগ ইমেজ করে ট্রাই করতে থাকুন। যেটায় ফলাফল সবচেয়ে ভালো পাবেন, সেটা নিয়ে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন।
আমার একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। ১ বছর আগে আমার ১টা গিগ ফার্স্ট পেইজেই ছিলো। কিন্তু অর্ডার পাচ্ছিলাম না তেমন। তাই ভাবলাম গিগ ইমেজ চেঞ্জ করে দেখি। তারপর ১টা গিগ ইমেজ ক্রিয়েট করে সেটা গিগ ইডিট করে ফার্স্ট ইমেজ এ দিলাম। আগের ২টা ঠিক ছিল। ইমেজ আপলোড দিয়ে কিছুক্ষন পর সার্চ দিয়ে দেখি আমার গিগ পুরা ফাইভারেই নাই। অবাক হয়ে আবার ইডিট করে আগের ইমেজটাই দিলাম। এবার দেখি আমার গিগ আবার ফার্স্ট পেইজে চলে আসছে। তো, আবার চেইঞ্জ করে নিউ ইমেজটা দিলাম। আবার সেইম অবস্থা। আমি ব্যাপারটার সত্যতা যাচাই এর জন্য ১০ বার সেইম কাজ করলাম এবং ১০ বারই সেইম রেজাল্ট পেলাম। এরপর ওই ইমেজটা চেইঞ্জ করে নিউ আরেকটা ইমেজ ক্রিয়েট করে সেটা দিয়ে ট্রাই করলাম। এবার দেখলাম গিগ ফার্স্ট পেইজে না আসলেও থার্ড বা ফোর্থ পেইজে আসছিলো। তাহলে বুঝেন ইমেজ এর কার্যকারিতা। অবশ্য ফাইভার মেবি অনেক দিন ফাইভারে থাকা পুরান ইমেজ এর মেটাডাটা কালেক্ট করে রাখে। এটা যারা SEO নিয়ে কাজ করেন তারা জানতে পারেন।
আরো বিস্তারিত আসছে Search Tag, Gig Description, Pricing, Buyer Communication, Repeat Buyer, Reselling gig নিয়ে বিস্তারিত সহ আরো কিছু ফাইভার সেন্সিটিভ টিপস। অপেক্ষা করুন আর সাথে সাথে এই টিপস গুলা কাজে লাগান।
বিঃ দ্রঃ যাদের গিগ র্যাংক করা আছে। তারা এই মেথড চেষ্টা না করাই ভালো। এটা নতুনদের জন্য।
পরবর্তী টিপস পেতে চাইলে কমেন্টে জানান।
ধন্যবাদ।
Nice
Very good
Nice
Great
Good job
Good great
Hi
ohh good
Good
Nice
Nice
Nic
Woww
Nice post
Niccccccc
Wow
Wow
Good
Great Tips 👍