বিয়েতে দেনমোহর ধ’রা হয় ২০ লাখ টাকা।স্থানীয়রা জানান, এক স’ন্তানের জননী ফারহা’না ইয়াসমীন গাংনী উপজে’লা আওয়ামী ম’হিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।ফারহা’না ইয়াসমিন তার প্রয়াত স্বা’মী সাহাবুদ্দীন জীবিত থাকা অবস্থায় গোলাম সারোয়ার সবুজের স’ঙ্গে প’রকীয়ায় জ’ড়িয়ে পড়েন।
মেহেরপুরের গাংনী উপজে’লা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারহা’না ইয়াসমিন দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন।গাংনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফারহা’নার ভাড়া বাড়িতে তার প্রে’মিক মেহেরপুর সদর উপজে’লার হরিরামপুর গ্রামের গোলাম সারোয়ার সবুজের স’ঙ্গে তার বিয়ে হয়।
বেশ কিছু দিন ধরে গোলাম সারোয়ার সবুজ ফারহা’নার বাড়িতে যাতায়াত করতেন।তখন থেকেই প্রতিবেশিরা তাদের অ’বাধ মেলামেশায় স’ন্দে’হ করতে থাকেন। স্থানীয়রা কেউ জিজ্ঞেস করলে ভাই পরিচয় দিতেন ফারহা’না ইয়াসমিন।
ফারহা’না ও গোলাম সারোয়ার সবুজের আচরণে স্থানীদের মাঝে নানা স’ন্দে’হের সৃষ্টি হয়। গোলাম সারোয়ার সবুজ আজ বেলা ১১টায় ফারহা’নার বাড়িতে আসলে স্থানীয় লোকজন তাদের আ’টকে রাখে।
প’রকীয়া হাতেহনাতে ধ’রা, অতঃপর বিবা’হিত যুবককেই দ্বিতীয় বিয়ে করলেন উপজে’লা ভাইস চেয়ারম্যানখবর পেয়ে গাংনী উপজে’লা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জে’লা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক ও পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম, গাংনী থানার ভারপ্রা’প্ত কর্মকর্তা মো. ওবাইদুর রহমান,
স্থানীয় কাউন্সিলর আছেল উদ্দীন, কাউন্সিলর নবীর উদ্দীন, শ্র’মিক নেতা মনিরুল ইসলাম মনিসহ প্রতিবেশীরা ফারহা’নার বাড়িতে ছুটে আসেন।জনপ্রতিনিধিদের কাছে ভাইস চেয়ারম্যান ফারহা’না ইয়াসমিন দাবি করেন, গোলাম সারোয়ার সবুজ তার ছোট ভাই। বিভিন্ন প্রয়োজনে তিনি তার বাড়িতে যাতায়াত করেন।
তার স’ঙ্গে কোনো অ’নৈতিক সম্প’র্ক নেই।কিন্তু সম্প’র্কের বি’ষয়টি স্থানীয়দের স’ন্দে’হের সৃষ্টি হওয়ায় গোলাম সারোয়ার সবুজের ম্যাসেঞ্জার পরীক্ষা করে কিছু অ’শ্লিল ছবি ও কথাবার্তা পাওয়া যায়। পরে উভ’য়ের সম্মতিতে ২০ লাখ টাকা দেন মোহরে তাদের বিয়ে হয়।
মে’য়েপক্ষের উকিল পৌর মেয়র আশরাফুল জানান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীদের উপস্থিতিতে ভাইস চেয়ারম্যান ফারহা’না ইয়াসমিনের স’ঙ্গে তার প্রে’মিক গোলাম সারোয়ার সবুজের স’ঙ্গে ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। মে’য়েপক্ষের দুজন সাক্ষী হলেন কাউন্সিলর আছেল উদ্দীন ও শ্র’মিক নেতা মনিরুল ইসলাম মনি।
বিয়ের বি’ষয়টি নিশ্চিত করে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের কাজি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘২০ লাখ টাকা বাকি দেনমোহরে ভাইস চেয়ারম্যান ফারহা’না ইয়াসমিন ও গোলাম সারোয়ার সবুজের বিয়ে হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মুহসিনুল কবির ওরফে মহাসিন হুজুর।’
প’রকীয়া হাতেহনাতে ধ’রা, অতঃপর বিবা’হিত যুবককেই দ্বিতীয় বিয়ে করলেন উপজে’লা ভাইস চেয়ারম্যানবিয়েতে উপস্থিত নেতারা জানান, বিয়ের সময় ছেলের বাবা, চাচা ও তাদের স্থানীয় ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
গাংনী থানার ওসি মো. ওবাইদুর রহমান জানান, মেহেরপুর এলাকার একটি ছেলেকে নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান ফারহা’না ইয়াসমিনের বাড়িতে ঝামেলা হয়েছে বলে খবর পাই। ঘ’টনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে অন্য পু’লিশ সদস্যদের রেখে গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকায় চলে এসেছি। পরে জানতে পেরেছি, ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়েছে।’
গাংনী উপজে’লা চেয়ারম্যান এম এ খালেক বলেন, ‘ঘ’টনাস্থলে এসে জানতে পারি, ভাইস চেয়ারম্যান ফারহা’না ইয়াসমিন ও গোলাম সারোয়ার সবুজের মধ্যে দীর্ঘ দিনের প্রে’মের সম্প’র্ক ছিল। সম্প’র্কের জেরে গোলাম সারোয়ার সবুজ প্রায় প্রতিনিয়ত ভাইস চেয়ারম্যান ফারহা’না ইয়াসমিনের বাড়িতে যাতায়াত করত।
ঘ’টনার সময় দুজন একবাড়িতে রয়েছে মর্মে খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন হৈচৈ শুরু করে। পরে দুজন দুজনকে ভালোবাসা ও অ’নৈতিকতার বি’ষয়টি প্রকাশ পেলে তাদের সম্মতিতে বিয়ে দেয়া হয়।’