ফুচকা যেটার একটা তকমা আছে আর সেটা হলো এটা মেয়েদের ভীষন পছন্দের খাবার, তবে মেয়েদের কাছে এই খাবারটি অধিক পছন্দনীয় হলেও ছেলেদের নিকটও কম নয়। এই খবারটির নাম শুনলে জিভে জল আসে অনেকের, আবার অনেকেই মিস করতে চায় না এই খাবারটি। ফুসকা যেমন তেমন হোক, ফুসকার টক ছাড়া অসম্পূর্ন থেকে যায়।
কিন্তু এই টক কী দিয়ে তৈরী হয়? সহজ উত্তর তেতুল দিয়ে আর সাথে থাকে বিভিন্ন ধরনের লবন এবং মশলা। কিন্তু সম্প্রতি ফুসকায় ব্যবহার করা টক বানানোর পানির উৎস নিয়ে তো’লপা’ড় শুরু হয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্রের কোলাপুর নামক এলাকায়। ঘটনার পর ফুচকাওয়ালাকে পু’/লি’শের হাতে তুলে দেয় জনগন।
জানা গেছে, কোলাপুরের রণকলা ঝিলের সামনে বসতেন এক ফুচকা বিক্রেতা। স্বাদে-গন্ধে তার ফুচকা ছিল অতুলনীয়। তাই বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে তার ফুচকার স্টলের সামনে মানুষের ঢল নামত। দূরদূরান্ত থেকেও সেই বিক্রেতার কাছে ফুচকা খেতে আসতেন অনেকে। তিনি যেখানে বসতেন তার আশেপাশের এলাকা ছিল সিসিটিভির আওতায়। একদিন কর্তৃপক্ষ সেই সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে চমকে ওঠে।
দেখা যায় সেই ফুচকা বিক্রেতা টক বানাচ্ছেন টয়লেটের পানি দিয়ে। এরপর গো’/পনে কয়েকদিন ধরে সেই বিক্রেতার ওপর নজর রাখা হয়। দেখা যায়, প্রায় প্রতিদিনই তিনি এই কাজে টয়লেটের পানি ব্যবহার করছে।
পরে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উন্মত্ত জনতা সেই ফুচকা বিক্রেতার স্টলে ভা’/ঙ’চুর চালিয়েছে। ফুচকাসহ স্টলের সব মালামাল ছুঁ’/ড়ে ফে’লে দিয়েছে তারা। একইসঙ্গে ফুচকা বিক্রেতাকে পু’/লি’শের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সেই ফুচকা বিক্রেতা নিজের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেছেন। তবে টয়লেটের পানি ব্যবহারের সেই সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভা’ইরাল হয়ে গেছে। খাবারে টয়লেটের পানি ব্যবহারের কারণে মা’/রা’ত্মক রোগে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অথচ দিনের পর দিন এমন কাজ অবলীলায় করেছেন সেই ফুচকা বিক্রেতা। এ ঘটনায় তাকে আইনের আওয়ায় আনা হবে।
তবে তিনি যতদিন ধরে এই কাজ চালিয়ে গেছেন, তাতে করে অনেকের অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কথা, কিন্তু তা হলেও তারা ঐ ব্যক্তির কর্মকা’/ন্ডকে দায়ী না করে ভিন্ন বিষয়কে দা’/য়ী করেছিল।
ঘটনার পর যারা ঐ বিক্রেতার নিকট থেকে ফুসকা খেয়েছে তাদের দশা কী হয়েছিল সে বিষয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে ধারনা করা হচ্ছে তাদের অবস্থা অনেকটা বে’হাল হয়েছিল।